, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মাত্র ৮ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিল প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন

  • আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৩ ১১:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৩ ১১:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন
মাত্র ৮ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিল প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন
আজ ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গার পথে ছুটছে প্রথম বিশেষ ট্রেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে কমলাপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঠিক ১১ট ২৬ মিনিট পদ্মা সেতুতে ট্রেন ওঠে। ৬.১৫ কিলোমিটার সেতু ট্রেনে করে পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৮ মিনিট। এর আগে ঈশ্বরদী থেকে গতকাল বুধবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পদ্মা সেতুর ট্রায়াল রান ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশনে পৌঁছায়।

ট্রেনটি ৮টি কোচ ও ১টি ইঞ্জিন নিয়ে গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে এসে কমলাপুর স্টেশনে অবস্থান করে ট্রেনটি। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই ট্রেনে রয়েছেন। এদিকে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় আরো উপস্থিত আছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

পরীক্ষামূলক এ যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন রেলওয়ে ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা। প্রকল্পের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রগতির তথ্য বলছে, পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৯৬.৫০ শতাংশ। ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৮০.৫০ ভাগ। এদিকে ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৮ ভাগ। 

আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন ট্রেনে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিবেন তিনি। গত ১৭ আগস্ট উদ্বোধন হতে যাওয়া অংশে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। দুই দিন পর পুরো পথে ট্র্যাক কার চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হচ্ছে।

এদিকে প্রকল্প সূত্র বলছে, কাজ বাকি রেখেই চালু হতে যাচ্ছে ঢাকার কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীন এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সব ধরনের কারিগরি কাজ শেষ না হওয়ায় শুরুতে মাঝের কোনো স্টেশনে ট্রেন থাকার সুযোগ নেই। নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ ও পুরাতন স্টেশন ভবন পুনর্নির্মাণের কাজ প্রায় অর্ধেক বাকি। 

সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, উদ্বোধনের পর শুরুতে সব স্টেশনের ট্রেনের বিরতি দেওয়া সম্ভব হবে না। মাঝে অনেক জায়গায় কাজ বাকি আছে। কিন্তু মেট্রো রেলের মতো আমরা ট্রেন চালানো শুরু করে দিতে চাই। মাঝের স্টেশনের কাজগুলো চলমান থাকবে। সেগুলো শেষে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে। এদিকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, লৌহজং, পদ্মা সেতু, শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুরের শিবচর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত এই রেলপথে ২০টি স্টেশন থাকবে।

প্রকল্পের অধীনে মূল পথ ১৬৯ কিলোমিটার। সেখানে লুপ ও সাইডিং ৪২.২২ কিলোমিটার এবং তিন কিলোমিটার ডাবল লাইনসহ মোট ২১৫.২২ কিলোমিটার রেলওয়ে পথ নির্মাণ করা হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কয়টি ট্রেন চলবে তা এখনও চূড়ান্ত করেনি রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে এই অংশ চালু হলে আরো ছয়টি রেলপথ এর সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রাথমিক ভাবনায় রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, যশোরের বেনাপোল, খুলনা, রাজশাহীর ট্রেনও এই পথে চালানোর চিন্তা আছে। সে ক্ষেত্রে ভারতে যাওয়ার মৈত্রী ট্রেনও এ পথ ব্যবহার করবে ভবিষ্যতে।